জিসানের মেসেজ আসে ফোনে আরিহা ফোনটা হাতে নিয়ে জিসানের মেসেজটি পড়তে শুরু করেনেট অন কর আরু কি বাচ্চি। কখন থেকে ভিডিও কল দিচ্ছি তোকে। আরিহা এইবার চুপচাপ ফোনের নেটটা অন করে। নেট অন হতেই জিসানের কল হামলে পড়ে ফোনে। আরিহা এইবার ফোনটা রিসিভ করে।
সাথে সাথে জিসান ওর উপর কথার ঝুলি নিয়ে হামলে পড়ে, — ওই মাইয়া বিয়া কইরা কি দুনিয়া দারি সব ভুলে বসে আছিস? নাকি আমাকে ভুলানোর মাস্টার প্লেন করছিস? এক কথা কান খুলে শুনে রাখ এই জন্মে তুই আমাকে ভুলাবার পারবি না। যদি ভুলার চেষ্টাও করোস না তাহলে তোকে ধরে হেমিড্যাকটিলাস ফ্রেনাটাসের জুস খায়িয়ে দিব বলে দিলাম।
আরিহা এইবার ভ্রুকুটি জোড়া করে বলে,হেমিড্যাকটিলাস ফ্রেনাটা টিকটিকি না? জিসান এইবার একটা ইনোসেন্ট ফেস করে বলেহু! আরিহা এইবার হো হো করে হেসে উঠে বলে, তুই পারোসও বটে। এই জন্যই বলে ডাক্তারি পড়া মানুষদের সাথে কখনো বন্ধুত্ব রাখতে নেই। এরা হয়ই আধাপাগল সাথে নিজের বন্ধুদেরও বানায় পাগল।
জিসান এইবার মুখ ফুলিয়ে বল আমায় পাগল উপাধি দিতে পারলি? নিজের বেস্টফ্রেন্ডকে পাগল বলতে তোর একবারও বুক কাঁপলো না? আল্লাহ তোমার কাছে বিচার দিলাম!! আরিহা তখন মুচকি হেসে বল! এতটা ঢং কিভাবে করিস বল তো? তোকে না ছেলের চেয়ে বেশি আমার মেয়ে মনে হয়। জিসান এইবার মুচকি হেসে বলে, হু তা এখন ঠিক আছিস তো?
তারপর কর্কশ কণ্ঠে বলে উঠে মানে এখন একজন অসুস্থ রোগীকেও ছাড় দিবে না তুমি? দেখতেই পারছো আমার এক হাত ভাঙ্গা তার উপর আহত আমি। এর মধ্যে বুকে শুতেই হবে তোমায় তাই না? আর কত কষ্ট দিতে চাও? ইহানের কন্ঠ আরিহার কানে আসতেই সে সতেচন হয়ে উঠে। কিন্তু চোখ খুলে না।