বাবা-মার কথা শুনতেই আরিহার মাথায় ধব আগুন জ্বলে উঠে পায়ের রক্ত মাথায় চড়ে বসে। চোখ দুটো ভীষণ লাল হয়ে উঠে। রাগে শরীর রি রি করে কাঁপতে থাকে। নিজের দুটো হাত মুষ্টি বদ্ধ করে চোখ দুটো বুঝে ফেলে নিজের রাগকে কোন মত শান্ত করার চেষ্টা করে।
দাঁতে দাঁত চেপে আরিহা বলে আমি ওয়াশরুম থেকে আসছি তার তোমায় চেঞ্জ করিয়ে দিচ্ছি আর কিছু না বলে ওয়াশরুমে চলে যায় মুখে অনাবরত ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে থাকে মাথায় হাল্কা পানি দেয় জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে থাকে। কোন মতে নিজেকে শান্ত করে আয়নায় তাকায়। চোখ দুটো এখনো লাল হয়ে আছে।
আরিহা এইবার নিজের রাগকে সংযত করে বাইরে বেরিয়ে এসে নিজের ড্রয়ার থেকে একটা চকলেট বের করে আর সাথে সাথে তা খুলে মুখে পুরে নেয় পরপর চারটে চকলেট সে মুখে পুরে নেয়। তার বিছানায় বসে চোখ বন্ধ করে তা চিবুতে থাকে। মূলত এইটি নিজেকে শান্ত করার একটা মাধ্যম।
এমন পাগলামো করছে কেন আরিহা এইবার কিছুটা শান্ত হয়ে উঠে। সে দীর্ঘ এক নিশ্বাস নিয়ে দম ফেলে।
এর মুখ্য উদ্দেশ্য কি ছিল? মেয়ের এমন কথায় আজমির সাহেবের বুকটা মোচড় দিয়ে উঠে।
তিনি বুঝতে পারেন যে আজ হয়তো কিছু একটা ঠিক নেই। সে বিচলিত সুরে বলে উঠে মা কি হয়েছে? এইভাবে কথা কেন বলছো?