সকালে কারো অনেক কর্কশ ডাকে চোখ খুলে তাকালাম। সকাল সকাল আমার ঘুমটা ভাঙিয়ে দিলো উফফ ডিসগাস্টিং। আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি উনি বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। আমি একটা হাই তুলে উঠে বসে বললাম কী হয়েছে উনি প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে বললেন, কী হয়েছে?
আধ ঘন্টা ধরে ডাকছি তোমাকে। উঠে যে পড়তে বসতে হবে ভুলে গেছো? আমি বিরক্ত হয়ে তাকালাম ওনার দিকে। এই লোকটা ইহকালে আমাকে শান্তি দেবেনা সেটা আমি শিউর। আরে ভাই হাজবেন্ড হাজবেন্ড এর মতো থাকনা টিচার হতে কে বলেছে?
ফ্রেশ হয়ে বেড় হয়ে দেখি উনি দুটো কফির মগ হাতে নিয়ে রুমে ঢুকলেন। আমার দিকে তাকিয়ে বললেন ব্যালকনিতে এসো।” আমি একটু অবাক হলেও কিছু বললাম না। হাতমুখ মুছে ওনার পেছন পেছন ব্যালকনিতে চলে গেলাম উনি আমার দিকে কফির মগটা এগিয়ে দিলেন। আমিও চুপচাপ সেটা হাতে নিয়ে নিলাম।
উনি কফির মগে একটা চুমুক দিয়ে বললেন আমি নিজে বানিয়েছি খেয়ে দেখো কেমন হয়েছে?” আমি এবার চরম অবাক দৃষ্টিতে তাকালাম ওনার দিকে। উনি কফি করেছেন তাও আমার জন্যে? আমাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে উনি ভ্রু কুচকে ফেললেন। ভ্রুজোড়া কুচকে রেখেই বললেন, আমার দিকে তাকিয়ে না থেকে কফিটা খাও।
আমিও কফির মগে চুমুক দিতে দিতে সকালের এই ফ্রেশ এয়ার উপভোগ করছি। কিছুক্ষণ পর নিরবতা ভেঙ্গে উনি বললেন অনি?
তুতলিয়ে বললাম জ্ জ্বী উনি আবারও বললেন কী হলো বলো?” আমি একটু হাসার চেষ্টা করে বললাম বেসেছি তো এখনো বাসি।
আব্বু,আম্মু, কাব্য, আপি, ভাইয়াদের এবাড়ির সবাইকেও এখন খুব ভালোবেসে ফেলেছি।” উনি মুখে হালকা বাঁকা হাসি ফুটিয়ে বললেন আমাকেও?আমি একটু হকচকিয়ে গেলাম কী উত্তর দেবো বুঝতে পারছিনা ভালোবাসি আমি ওনাকে? এই প্রশ্নের উত্তর তো আমার কাছে এখনো অজানা আমার কোনো উত্তর না পেয়ে উনি বললেন চলো রুমে চলো পড়তে হবে।